নিজস্ব সংবাদঃ সরকারি ৬৯০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার দ্বিগুন দামে বিক্রির অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রিতে বিপিসির বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি।
কয়েক দশক ধরে রান্না করে বেতলজাত এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছে দেশের মানুষ। সম্প্রতি সময়ে লাইনে গ্যাসের অপ্রতুলতায় সিলিন্ডারের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সুযোগে বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি দাম বাড়াচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি মাত্র ৬৯০ টাকায় গ্রাহক পর্যায়ে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করে।
তবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রিতে বিপিসির বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। বছরে ১৪ লাখ গ্যাস গ্রাহক পর্যায়ে সরকারিভাবে সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাজারে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তদন্ত সংস্থা বলছে, বেসরকারি কোস্পানির বেতল ভরে এসব সিলিন্ডার ডিলার-বিপিসির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
বিপিসির তথ্যমতে, প্রতি বছর ১৪ লাখ সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন করে সরকার। অতিরিক্ত ৭শ’ টাকা প্রতি সিলিন্ডারে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যয় হলে প্রতারকদের হাতে চলে যায় প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: কমলো এলপি গ্যাসের দাম
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, গ্যাস বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার দিনভর বিপিসির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র- সাধারণ মানুষের কাছে যে গ্যাস ৬৯০ টাকায় পৌঁছানোর কথা, সেই গ্যাস বেসরকারি কোম্পানির বোতলে ভরে ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ অবস্থায় বিপিসি থেকে পাওয়া অনিয়মের তথ্যের আলোকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা
সংস্থাটির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি এ ধরনের কাজ বন্ধে আন্তরিক চেষ্টা রয়েছে।